একড়ি বা ইংরেজির ইয়াকারি দেরিব ও জবের এক মহান সৃষ্টি। মহান এই কারণেই বললাম যে, একড়ির গল্পগুলি যত পড়ছি, ততই এর ফ্যান হয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকটি গল্প আগের গল্প থেকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে গড়ে উঠেছে। একড়ি আর বিশাল ঈগল যেমন একড়ি আর তাদের রেডইন্ডিয়ান গোষ্ঠীর আচার আচরণ নিয়ে, তেমনই একড়ি আর সাদা মোষের পর্বে একড়ির গোষ্ঠীর দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট রূপ ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে বীভারের দলের মজাদার কীর্তি যেমন তুলে ধরেছে তৃতীয় পর্বে, তেমনি চতুর্থ পর্বে একড়ির গোয়েন্দাগিরি থেকে শুরু করে দুষ্টের শায়েস্তা বা শিক্ষারও ঘটনা দেখিয়েছে। প্রতিটা পর্ব যেমন আলাদা আলাদা ভাবধারা, একড়ির চরিত্রের নতুন নতুন দিক ফুটিয়ে তোলার সফল প্রয়াস করেছেন এর রচয়িতা, এই পর্বেও যে সেরকমই নতুন কিছু পাবো, বলাই বাহুল্য।
চরম সর্দি নিয়ে বীভার ও একড়ির শরণাপন্ন হল পথভুলে যাওয়া এক পেলিক্যান। (পেলিক্যানের সঠিক বাংলা শব্দ পেলাম না। বকজাতীয় পাখি, গুগল ট্রান্সলেটরে পেলিক্যানের বাংলা চাতক দেখাচ্ছে, তাই আমিও চাতক পাখি কথাটাই ব্যাবহার করলাম অনুবাদের সময়।) প্রথমদিকে বীভারেরা ওকে সাহায্য ও আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে ওরা খেপে উঠল ওর উপর। অগত্যা একড়ি চাতকটিকে সাহায্য করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করল। কিন্তু সর্দিতে নাজেহাল একজন যে কীভাবে বাকিদের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা এই গল্পটিতে দুর্দান্তভাবে দেখানো হয়েছে। আশা করি সকলেরই সেটা ভালো লাগবে।
আর একটা কথা, এই পর্বটি অনুবাদ করতে বেশিদিন না লাগলেও এর ছবির মাঝের লেখাগুলি অনুবাদ করতে প্রায় তিন সপ্তাহ লেগেছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, বইয়ের ৯ পাতার শেষ ব্লকের ছবিটা তিনদিন ধরে এডিট করার চেষ্টা করেও মনের মত করে উঠতে পারিনি। আর শেষ দিকের বেশ কিছু ডায়লগ আমার খাপছাড়া বলে মনে হয়েছে, কারণ ইংরেজীতেও ওগুলো ওরকমই খাপছাড়া লেগেছে আমার।
যাই হোক, আশা করি মুগ্ধবাংলার পাঠকদের নতুন বছরের এই প্রথম কমিকসটি ভালো লাগবে।